"কাজ নিয়ে যত কথা"
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কাজ ক্ষমতা ও শক্তি তথা তিনটি শব্দই প্রায়শই ব্যবহার করে থাকি। আমরা সাধারণত যেকোনো কিছু করাকে কাজ বলে থাকি। এখন আমরা গল্পের মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কাজ নিয়ে বিস্তারিত জানবো।
অম্লান একটি বস্তাকে টেনে উপরে উঠাচ্ছে, তাকে আমরা কাজ বলি, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানে কোন কিছু করাকে কাজ বলে না। পদার্থবিজ্ঞানে কাজ হল বলে সাথে সরণের সম্পর্কযুক্ত। বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ হল কোন বস্তুর উপর যদি বল প্রয়োগ করা হয় এবং বস্তুটি যদি বলের অভিমুখে ঐ সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাতে কাজ বলা হয়।
অর্থাৎ, কাজ(W) = বল(F) × সরণ(S)
চলুন এবার একটি গল্পের মাধ্যমে বিষটি ভালোভাবে জানা যাক।
গল্পঃ০১
একজন নৌকার মাঝি নদীর স্রোতের বিপরীতে নৌকা চালাচ্ছিলেন। নদীর স্রোত এত বেশি ছিল যে, তিনি সারা রাত পরিশ্রম করেও নৌকা স্রোতের বিপরীতে কোনো দূরত্ব অতিক্রম করল না। এতে নৌকার মালিক ক্ষেপে গিয়ে বললেন, তুমি আজ কোনো পারিশ্রমিক পাবে না। কারণ তুমি কোনো কাজ করনি। মাঝি কারণ তুমি কোনো কাজ করনি। মাঝি করুন কণ্ঠে বললেন, আমি যে সারারাত নৌকা বাইলাম সেটা কি কোন কাজ নয়? মালিক বলেন না।
উক্ত গল্পে সারা রাত পরিশ্রম করেও পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণ হল বিপরীতে নৌকা চালিয়ে অর্থাৎ বল প্রয়োগ করেও নৌকা কোনো দূরত্ব অতিক্রম করতে পারেনি, যেহেতু বলের অভিমুখে কোনো সরণ ঘটেনি সেহেতু বলা যায় যে, কোনো কাজ হয়নি। এই করণে মালিক মাঝিকে পারিশ্রমিক দিতে চাননি।
গল্পঃ০২
ধনী এবং অয়ন দুজনে ফুটবল খেলতেছে, ধনী অয়নের দিকে ফুটবল টি কিক করলো,
এই ঘটনাটিতে ধনী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বল দিয়ে বলের অভিমকে ফুটবল টিকে অয়নের দূরত্ব পর্যন্ত গেল, অর্থাৎ বলের দিকে সরণ ঘটেছে, আর সরণ ঘটা মানে কাজ হওয়া।
গল্পঃ০৩
একদিন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পদার্থবিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় স্যারের হাত থেকে ডাস্টারটি মেজেতে পড়ে গেল, শিক্ষক আবার ডাস্টারটিকে মেঝে থেকে উপরে তুলল।
এই ঘটনাটিতে প্রযুক্ত বলের অভিমুখ হচ্ছে বস্তুটির উপর ঊর্ধ্বমুখী স্মরণের দিকে সুতরাং শিক্ষকের প্রযুক্ত বল বস্তুটির উপর ধনাত্মক কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু অভিকর্ষ বল নিচের দিকে ফলে অভিকর্ষ বলের জন্য ঋণাত্মক কাজ হয়।
আজ আমরা কাজ নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। পরবর্তীতে আমরা শক্তি নিয়ে জানবো।
Amlan Paul
CEO & Founder
Joydeb Paul
Modarator